All Kinds of Power Solutions
How Can We Help?
Contact Us
Talk To An Expert
+8801672073817

জেনারেটরের দাম: ধরন, ক্ষমতা ও কেনার বিস্তারিত গাইডলাইন

বাংলাদেশে লোডশেডিং মানেই হঠাৎ সব কাজ থেমে যাওয়া। বাসা হোক বা ব্যবসার জায়গা, একটা নির্ভরযোগ্য জেনারেটর অনেক সময় সত্যিই বাঁচিয়ে দেয়। তাই মানুষ এখন দামের পাশাপাশি মান, ফুয়েল খরচ, শব্দ কম হওয়া; সবকিছু মিলিয়ে সেরা অপশন খুঁজে নিচ্ছে।বাংলাদেশে লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে জেনারেটর এখন প্রায় প্রতিটি বাড়ি, অফিস, দোকান ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে জেনারেটরের দাম মূলত নির্ভর করে এর ক্ষমতা, ব্র্যান্ড, ফিচার এবং ফুয়েল টাইপের ওপর।

ছোট অফিস, ঘর বা দোকানের জন্য ১–৩ কেভিএ জেনারেটর পাওয়া যায় তুলনামূলক কম দামে। বড় বাসা, রেস্টুরেন্ট, ফার্মহাউস বা মাঝারি ব্যবসার জন্য ৫–২০ কেভিএ জেনারেটর জনপ্রিয়। শিল্প কারখানা, হাসপাতাল বা বড় কমার্শিয়াল বিল্ডিংয়ে সাধারণত ৩০–১০০+ কেভিএ জেনারেটর ব্যবহৃত হয়। এসব জেনারেটরের দাম তুলনামূলক বেশি হলেও এগুলো দীর্ঘক্ষণ চলতে পারে এবং ভারী লোড সহজে বহন করতে সক্ষম।

জেনারেটরের দাম: ধরন, ক্ষমতা ও কেনার বিস্তারিত গাইডলাইন

এই ব্লগে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব বাংলাদেশে কোন জেনারেটরের দাম কত, কোনটা কোন কাজে ভালো, আর কেনার আগে কোন বিষয়গুলো ভাবা উচিত। টেকসই ও উন্নত মানের জেনারেটর কিনতে চান? তাহলে এবি পাওয়ার জেনারেটর হতে পারে আপনার সেরা সিদ্ধান্তর সেরা সঙ্গী।

যোগাযোগ করুন

বাংলাদেশে জেনারেটরের দরদাম

বিদ্যুতের লোডশেডিং কিংবা দূরবর্তী এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন শক্তি সরবরাহের জন্য জেনারেটর এখন অনেকেরই অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে জেনারেটরের দাম ক্ষমতা, জ্বালানির ধরন ও ব্র্যান্ড অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে থাকে। নিম্নে জেনারেটরের আনুমানিক দাম উল্লেখ করা হল:

জেনারেটরের ধরন আনুমানিক দাম (বাংলাদেশি টাকা)
ছোট–পোর্টেবল জেনারেটর ৮৫,০০০ – ৫০০,০০০
মাঝারি ক্ষমতার জেনারেটর ৫০০,০০০ – ১,২০০,০০০
বড় / কমার্শিয়াল / ইন্ডাস্ট্রিয়াল জেনারেটর ১,২০০,০০০ – ৮,০০০,০০০+
নোটঃ এটা আনুমানিক দাম। বিভিন্ন কারনে দামে তারতম্য হতে পারে। এক্স্যাক্ট দামের জন্য আমাদের কে কল করুন +8801672073817

জেনারেটরের দাম নির্ধারণে যেসব বিষয় প্রভাব ফেলে

জেনারেটরের দাম কেবল ক্ষমতা দিয়ে নির্ধারিত হয় না; আরও কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যেমন—ফুয়েল টাইপ, ব্র্যান্ড, সার্ভিস-ওয়ারেন্টি ইত্যাদি। সাইলেন্ট জেনারেটর সাধারণত দাম বেশি কারণ এগুলোতে শব্দ কম হয় এবং কোয়ালিটি অত্যন্ত উন্নত।

  • জেনারেটরের ব্র্যান্ড
  • kW বা kVA পাওয়ার
  • পেট্রোল, ডিজেল নাকি গ্যাস
  • সাইলেন্ট না ওপেন টাইপ
  • অটোমেটিক/ম্যানুয়াল স্টার্ট
  • সার্ভিস ও পার্টসের মান

কোন জেনারেটর কোথায় মানানসই?

বিভিন্ন কাজ ও জায়গার বিদ্যুৎ চাহিদা আলাদা, তাই সঠিক জেনারেটর নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাড়ি, দোকান, রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে ফ্যাক্টরি; প্রতিটি ক্ষেত্রে আলাদা ক্ষমতা ও প্রযুক্তির জেনারেটর প্রয়োজন হয়। এই টেবিলটি আপনাকে খুব সহজভাবে বুঝতে সাহায্য করবে কোন পরিবেশে কোন ধরনের জেনারেটর সবচেয়ে কার্যকর ও সাশ্রয়ী।

ব্যবহার ক্ষেত্র জেনারেটর টাইপ পাওয়ার রেঞ্জ
ছোট ঘর বা ফ্ল্যাট ইনভার্টার জেনারেটর 1–3 kW
দোকান/অফিস পেট্রোল / ডিজেল 3–7 kW
রেস্টুরেন্ট/বেকারি ডিজেল 10–20 kVA
বড় অ্যাপার্টমেন্ট ডিজেল + ATS 20–100 kVA
ফ্যাক্টরি হেভি ডিজেল 50–500+ kVA
আউটডোর / ইভেন্ট পোর্টেবল ইনভার্টার 1–2 kW
হাসপাতাল হাই-গ্রেড ডিজেল 50–200 kVA

জেনারেটর রক্ষণাবেক্ষণ: দীর্ঘস্থায়ী করার সহজ উপায়

জেনারেটরকে দীর্ঘদিন নিরবচ্ছিন্নভাবে চালাতে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত সার্ভিসিং ও সঠিক ব্যবহার জেনারেটরকে অপ্রত্যাশিত নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করে এবং খরচও কমায়।

  • নিয়মিত ইঞ্জিন অয়েল চেক ও নির্ধারিত সময় পরপর পরিবর্তন করুন।
  • এয়ার ও ফুয়েল ফিল্টার পরিষ্কার বা প্রয়োজন হলে রিপ্লেস করুন।
  • ব্যাটারির পানি ও চার্জিং স্ট্যাটাস নিয়মিত পরীক্ষা করুন।
  • লোড অনুযায়ী জেনারেটর চালান—ওভারলোড কখনো করবেন না।
  • সপ্তাহে অন্তত একবার ১০–১৫ মিনিট জেনারেটর রান করে রাখুন।
  • সাইলেন্ট কেসিং ও এক্সহস্ট পথ পরিষ্কার রাখুন যাতে হিট জমে না।
  • ফুয়েল ট্যাঙ্কে ময়লা জমা ঠেকাতে পরিষ্কার জ্বালানি ব্যবহার করুন।
  • ভাইব্রেশন বা অদ্ভুত শব্দ হলে দ্রুত মেকানিক দিয়ে চেক করান।
  • জেনারেটরকে শুকনো, বায়ু চলাচল উপযোগী, নিরাপদ স্থানে রাখুন।
  • বছরে অন্তত একবার পেশাদার সার্ভিসিং করানো সবচেয়ে ভালো।
ব্যাটারির পানি ও চার্জিং স্ট্যাটাস নিয়মিত পরীক্ষা

জেনারেটর কেনার আগে যে বিষয়গুলো অবশ্যই দেখবেন

জেনারেটর কেনার আগে আপনার পাওয়ার চাহিদা এবং ব্যবহারের উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা জরুরি। পাশাপাশি শব্দমাত্রা ও সার্ভিস সুবিধা ভালোভাবে যাচাই করা উচিত। সঠিক মেশিন বেছে নিলে লোডশেডিং, অফিস কাজ বা ব্যবসায়িক ব্যবহারে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত হবে।

  • প্রথমে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী কিলোওয়াট/কেভিএ পাওয়ার ক্যাপাসিটি নির্ধারণ করুন।
  • পেট্রোল, ডিজেল নাকি ইনভার্টার জেনারেটর; কোনটি আপনার জন্য উপযুক্ত তা ঠিক করুন।
  • কম শব্দে চলা ও সাইলেন্ট কেসিং আছে কি না চেক করুন।
  • জ্বালানি খরচ কত; অর্থাৎ ফুয়েল এফিসিয়েন্সি দেখে নিন।
  • স্পেয়ার পার্টস ও সার্ভিস সাপোর্ট সহজলভ্য কি না নিশ্চিত হন।
  • জেনারেটরটি ওভারলোড প্রোটেকশন, লো অয়েল শাটডাউন ইত্যাদি নিরাপত্তা ফিচার আছে কিনা দেখুন।
  • মেশিনের ওয়্যারেন্টি, ডেলিভারি ও ইনস্টলেশন সাপোর্ট যাচাই করুন।
  • যদি দীর্ঘসময় চালাতে হয়, তাহলে ডিজেল জেনারেটর বেশি টেকসই ও সাশ্রয়ী।
  • বাড়ি/ফ্ল্যাটের জন্য ইনভার্টার জেনারেটর সবচেয়ে নিরাপদ ও কম শব্দযুক্ত।
Ready for Solar?
"Discover Budget-Friendly Panels Now!
AB Power Engineering Ltd."

আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক জেনারেটর বেছে নিন

জেনারেটর এখন আর লাক্সারি নয়, এটি এখন দৈনন্দিন জীবনযাপনের জন্য অপরিহার্য নিয়ামক। সঠিক দাম ও মানের সেরা জেনারেটর কিনতে চাইলে আজই এবি পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এর সাথে যোগাযোগ করুন। আমরা আপনাকে বিশ্ব মানের টেকসই জেনারেটর সরবরাহ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

বিস্তারিত জানতে কল করুন: +8801672073817

জেনারেটরের দাম সম্পর্কিত কিছু সাধারণ প্রশ্নোত্তর

বাংলাদেশে জেনারেটরের দাম বিভিন্ন কিছুর উপর নির্ভর করে, যেমনঃ ব্র্যান্ড, ক্ষমতা (kW/kVA), ফুয়েল টাইপ এবং সাইলেন্ট/ওপেন ডিজাইনের ওপর দাম নির্ভর করে। লোড যত বেশি হবে, দামের পার্থক্যও তত বেশি দেখা যায়।

1–3 kW পেট্রোল জেনারেটর সাধারণত বাসার জন্য সাশ্রয়ী হয়। লাইট, ফ্যান, ফ্রিজ ও ল্যাপটপ চালানোর জন্য এসব ক্ষমতা যথেষ্ট।

ডিজেল জেনারেটর লং-রান, শক্তিশালী ও টেকসই। বেশি লোড নেয় বলে এর ইঞ্জিন কোয়ালিটি উন্নত, আর এসব কারণে দাম তুলনামূলক একটু বেশি।

সাইলেন্ট জেনারেটরে সাউন্ডপ্রুফ কাভার ও Noise-control প্রযুক্তি থাকে। বাসা, অফিস ও দোকানে শান্ত পরিবেশ দিতে এগুলোর দাম বেশি হয়।

পেট্রোল জেনারেটরের দাম সবচেয়ে কম। ডিজেল দামে একটু বেশি, আর গ্যাস জেনারেটর অপারেটিং কস্টে সাশ্রয়ী হলেও সেটআপের কারণে দাম মাঝারি রেঞ্জে থাকে।

10–20 kVA সাধারণত ছোট দোকান ও অফিসের জন্য যথেষ্ট। কম্পিউটার, লাইটিং, ফ্যান ও AC চালাতে এই রেঞ্জ ভালোভাবে কাজ দেয়।

হ্যাঁ, অনলাইনে কখনো কম দাম বা অফার পাওয়া যায়। তবে স্থানীয় মার্কেটে সরাসরি দেখে নেওয়া ও সার্ভিস পাওয়া সহজ।

লোড ক্যালকুলেশন, ফুয়েল খরচ, ব্র্যান্ড, ওয়ারেন্টি ও সার্ভিস সাপোর্ট; এসব দেখে দাম মিলানো উচিত। শুধু কম দাম দেখে কিনলে ভবিষ্যতে সমস্যা হতে পারে।

না, নিয়মিত তেল, ফিল্টার পরিবর্তন ও সাধারণ সার্ভিস করলেই চলে। ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করলে জেনারেটর অনেক বছর ভালো পারফরম্যান্স দেয়।
"Start Your Journey Towards Sustainable Energy
Solutions with AB Power Engineering Ltd."

Discover the Latest Developments in Energy Solutions

Arrow