বিদ্যুৎ বিল এখন অনেকের জন্যই বাড়তি চাপ। বাসা, দোকান, ছোট অফিস সব জায়গায়ই মানুষ খরচ কমানোর উপায় খুঁজছে। সোলার প্যানেল সেই আলোকে কাজে লাগায়। ঠিকমতো পরিকল্পনা করলে মাসের বিদ্যুৎ বিলের বড় একটা অংশই সোলার দিয়ে সাশ্রয় করা যায়।
বাংলাদেশে ছাদে সোলারের ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। কারণ, একবার সিস্টেম বসালে সেটি অনেক বছর চলে, রক্ষণাবেক্ষণ কম লাগে, আর সাশ্রয় দেখা যায় প্রথম মাস থেকেই। এবি পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড দীর্ঘদিন ধরে বাড়ি, দোকান, অফিস এবং বাণিজ্যিক ভবনের জন্য সোলার সিস্টেম স্থাপন করছে।
আপনি যদি আপনার বিদ্যুৎ বিল কমাতে চান, তাহলে এখনই সৌরশক্তি ব্যবহার করার সেরা সময়। বিস্তারিত জানতে ০১৬৭২০৭৩৮১৭ নম্বরে কল করুন!
সোলার প্যানেল মূলত সূর্যের আলোকে সরাসরি বিদ্যুতে রূপান্তর করে। এই বিদ্যুৎ শুরুতে ডিসি (ডাইরেক্ট কারেন্ট) থাকে। ইনভার্টার এটিকে এসি (অল্টারনেটিং কারেন্ট) করে আমাদের ঘর বা অফিসে ব্যবহারযোগ্য করে তোলে। সাধারণভাবে তিন ধরনের সোলার সিস্টেম দেখা যায়:
অন-গ্রিড সিস্টেম: গ্রিডের সাথে সংযুক্ত থাকে। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ গ্রিডে চলে যায়।
অফ-গ্রিড সিস্টেম: পুরোপুরি সোলার ও ব্যাটারির ওপর নির্ভর করে।
হাইব্রিড সিস্টেম: দুটোর সুবিধাই থাকে।
সোলার প্যানেল কীভাবে বিদ্যুৎ বিল কমায়?
বিদ্যুৎ বিল কমার সবচেয়ে সহজ ব্যাখ্যা হলো, আপনি গ্রিড থেকে কম ইউনিট ব্যবহার করছেন। দিনের বেলায় গ্রিড থেকে ইউনিট নেওয়ার প্রয়োজন হয় না, ফলে মাস শেষে বিল কম আসে।
এছাড়া অন-গ্রিড সিস্টেমে আরেকটি সুবিধা আছে, যাকে বলা হয় নেট মিটারিং। বাড়তি সোলার ইউনিট গ্রিডে পাঠালে সেই ইউনিট আপনার মাসিক বিল থেকে কমে যায়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ব্যবহারকারীরা “ন্যূনতম” বিল দিচ্ছেন শুধু লাইন চার্জ হিসেবে।
হাইব্রিড সিস্টেম হলে লোডশেডিংয়ের সময় ব্যাটারি দিয়ে ঘরের লোড চলে। এতে জেনারেটর বা গ্রিডের উপর নির্ভরতা কমে।
সোলার প্যানেল ব্যবহার কতটা সাশ্রয় হয়?
অনেকেই জানতে চান, “ঠিক কত টাকা কমবে?” সোলার সিস্টেমের ক্ষমতা আর আপনার দৈনিক লোড, এ দুইটাই সাশ্রয়ের পরিমাণ ঠিক করে। নিচে একটি সাধারণ তুলনা দেওয়া হলো:
সিস্টেম ক্ষমতা
দৈনিক উৎপাদন
মাসিক সাশ্রয় (BDT)
উপযুক্ত ব্যবহারকারী
৩ কিলোওয়াট
১২–১৫ ইউনিট
১,২০০–১,৮০০ টাকা
ছোট বাসা
৫ কিলোওয়াট
১৮–২২ ইউনিট
২,০০০–৩,০০০ টাকা
মাঝারি বাসা/অফিস
১০ কিলোওয়াট
৩৫–৪৫ ইউনিট
৪,০০০–৬,০০০+ টাকা
বড় বাসা/বাণিজ্যিক ভবন
কেন সোলার ব্যবহার করলে বিল কমে?
সঠিকভাবে ডিজাইন করা সিস্টেম হলে এবং সঠিক সোলার ব্যবহার করলে ৫০% থেকে ৬০% পর্যন্ত বিল কমানো সম্ভব। বড় সিস্টেম বসালে প্রতি মাসে ৪–৬ হাজার টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় হতে পারে। এখানে কয়েকটি সহজ কারণ তুলে ধরা হলো:
দিনে সোলার লোড নিলে গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ নেওয়া লাগে না।
নেট মিটারিং হলে অতিরিক্ত ইউনিট বিল থেকে কেটে যায়।
ব্যাটারি থাকলে রাতেও সোলার সাশ্রয়ে প্রভাব ফেলে।
পাম্প, ফ্রিজ, ফ্যানের মতো নিয়মিত লোড সোলারে চালানো যায়।
বাণিজ্যিক ভবনে দিনে যেসব লোড সবচেয়ে বেশি চলে সেগুলো সোলারে নিলে হিসাবেই বদলে যায়।
সোলার প্যানেল নিয়ে কিছু সাধারণ ভুল ধারণা
অনেকেই এখনও সোলার নিয়ে কিছু ভুল ধারণায় আছেন। সেগুলো একটু পরিষ্কার করি-
শুধু রোদে কাজ করে: আংশিক সত্য। মেঘলা দিনেও সোলার বিদ্যুৎ তৈরি করে, যদিও পরিমাণ কমে।
রক্ষণাবেক্ষণ খুব ঝামেলার: বছরে ১–২ বার পরিষ্কার করলেই ভালো ফল পাওয়া যায়।
বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যায়: মানসম্মত প্যানেল পুরোপুরি ওয়েদার-প্রুফ।
ব্যাটারি ছাড়া সিস্টেম চলে না: অন-গ্রিড সিস্টেমে ব্যাটারি বাধ্যতামূলক নয়।
Ready for Solar?
"Discover Budget-Friendly Panels Now!
AB Power Engineering Ltd."
বাংলাদেশে দিনে যত রোদ পড়ে, তার সামান্য অংশও কাজে লাগাতে পারলে বিদ্যুৎ বিল বেশ কমে যায়। হাজার হাজার পরিবার ও ব্যবসা এখন সোলারের মাধ্যমে মাসে কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় করছে।
সোলার প্যানেলের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো মাসিক বিদ্যুৎ খরচ চোখে পড়ার মতো কমে। আর একবার লাগালে ২০ বছরের বেশি ভালো পারফরম্যান্স দেয়। পরিবেশবান্ধব বলেও অনেকেই সোলার বেছে নেন। অসুবিধা বলতে মূলত প্রাথমিক বিনিয়োগটাই বেশি। আর বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ছাদে খোলা জায়গা থাকতে হয়।
হ্যাঁ, সরাসরি কমে। দিনে সোলার যত লোড বহন করে, গ্রিড থেকে তত কম ইউনিট নেওয়া লাগে। ফলে মাস শেষে বিলও বেশ কমে যায়। নেট মিটারিং থাকলে অতিরিক্ত ইউনিটও বিল থেকে কেটে যায়।
সরাসরি রোদে উৎপাদন সবচেয়ে বেশি হয়। তবে মেঘলা দিনেও সোলার প্যানেল পুরোপুরি বন্ধ হয় না। আলো যতটা পায়, ততটাই বিদ্যুৎ তৈরি করে। তাই সারা বছরই ব্যবহারের উপযোগী।
দীর্ঘমেয়াদে সাশ্রয়, পরিবেশবান্ধব, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সহায়তা, সব মিলিয়ে দীর্ঘমেয়াদে সাশ্রয়ী এবং নির্ভরযোগ্য উৎস।
ভালো মানের সোলার প্যানেল সাধারণত ২০–২৫ বছর পর্যন্ত চলে। ইনভার্টার ও ব্যাটারির স্থায়িত্ব একটু ভিন্ন হতে পারে, তবে নিয়মিত পরিষ্কার এবং সাধারণ মেইনটেন্যান্স করলে পুরো সিস্টেম অনেক বছর স্থিতিশীলভাবে কাজ করে।
কম আলো মানে শুধু উৎপাদন কম হবে, বন্ধ হবে না। মেঘ, কুয়াশা, এমনকি হালকা বৃষ্টির দিনেও প্যানেল কিছুটা বিদ্যুৎ তৈরি করে। তাই সোলার সিস্টেম সারা বছরই ব্যবহারযোগ্য থাকে।
Affordable and durable solar panels for homes in Bangladesh. Get expert-installed solar panels to save money and enjoy reliable energy. Call now: +8801672073817
Updated solar system price in Bangladesh. 1kW–10kW rooftop solutions for homes and offices. Quality panels and installation by AB Power Engineering Ltd.